পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ৫টি উপায়
পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় নিয়ে আমি আলোচনা করব, স্কিন ডিজিসের মধ্যে অন্যতম স্কিন ডিজিজ যা শীতকালে হয়ে থাকে, তা হচ্ছে সাধারণত আমরা চুলকানি নামে চিনে থাকি।আমি আরো আলোচনা করব অ্যালার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে।
চুলকানি এমন একটা রোগ যে রোগটা মানুষের অনেক সময় মান সম্মান নিয়ে টানাটানি হয়।আর এই বিষয় নিয়ে আমি আর্টিকেলে আলোচনা করব। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন আশা করি অনেক উপকৃত হবেন।
পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায়
পুরুষাঙ্গের যৌনাঙ্গে চুলকানি কি কি কারনে হয়? দুই-একটা কারণে পুরুষাঙ্গের চুলকানি হয়ে থাকে।
প্রথম কারণ হচ্ছে, আমরা যদি অপরিষ্কার থাকি তাহলে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয় ।অপরিষ্কার জায়গায় পাঙ্গাশ জন্মাতে খুব সাহায্য করে।দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, দেখা যায় যে যারা দীর্ঘ সময় অফিস করে বা দীর্ঘ সময় ধরে গরমের মধ্যে জার্নি করে।এর জন্য যৌনাঙ্গের আশেপাশে ঘেমে যাই, যার জন্য এই সমস্যা তৈরি হয়।
তৃতীয় কারণ হচ্চে,আবার দেখা যায় যারা টয়লেট করে আসে বা পায়খানা করে আসছে। ওই জায়গাটা ভালো করে পরিষ্কার করে না পানিগুলো মুছে না।আর যে জায়গায় পানি জমে থাকে সে জায়গায় পাঙ্গাস খুব দূরত্ব তৈরি হয়।তাছাড়া ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সের ছেলেমেয়েদের এই সমস্যাটা বেশি হয়।
চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক এর ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসা কি ? যদি প্রথম অবস্থায় হয় তাহলে ঘরোয়া উপায়ে হালকা কুসুম গরম পানি, ডেটল, বা স্যাভলন দিয়ে ধৌত করলে ভালো হয়ে যাবে ।
যদি এটা বেশি হয়ে যায় তাহলে গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন, তবে পাশাপাশি কিছু মেডিসিন আপনাকে খেতে হবে। যেমনঃ টারমিনাফিন,মাইক্রোফিন ২৫০ এমজি ট্যাবলেট প্রতিদিন একটা করে একটানা 21 দিন খেতে হবে।
এটা হচ্ছে,পাঙ্গাস এর জন্য।পাশাপাশি চুলকানির জন্য এলাট্রল, খেতে পারেন।অথবা একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে পারেন পাশাপাশি এই নিয়মগুলো মেনে চলতে পারলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার সমস্যা ভালো হয়ে যাবে ।
এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
এলার্জি অনেক প্রকার হয়ে থাকে ।পৃথিবীর সকল ধরনের একজিমা এলার্জির সাথে সম্পর্কিত ।এ ধরনের অনেক রকমের একজিমা হয়ে থাকে যার সাথে এলার্জি সম্পর্কিত।একইসঙ্গে বিভিন্ন মানুষের চোখ চুলকায়, হাত চুলকায়, শরীরে লাল লাল চাকা চাকা হয়ে যাচ্ছে এটাও একটা এলার্জির সমস্যা ।অনেকে আছে কোন খাবার খেলে শরীরে চাকা চাকা ফুলে যাচ্ছে কান চুলকাচ্ছে নাক চুলকাচ্ছে এটা ফুড এলার্জি হতে পারে।
অনেকেই আছে জামা কাপড় পরলে সেটা থেকে এলার্জি হচ্ছে ।এক্ষেত্রে নরমাল নেচেলার যে জিনিসটা হচ্ছে। আগে যে ধারণা ছিল যে, গরুর মাংস, ইলিশ মাছ, চিংড়ি, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, যত ধরনের খাবার আছে এ ধরনের খাবারে এলার্জি আছে। এ ধারণাটা আসলে সঠিক না। প্রত্যেক মানুষেরই এলার্জি আছে কারো কম কারো বেশি।আবার কারো দেখা যায় ইলিশ মাছ খেলে হচ্ছে।
আবার কারো দেখা যায় বেগুন খেলে হচ্ছে। কারো আবার গরুর মাংস খেলে হচ্ছে। এজন্য এলার্জি প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে ইন্ডিভিজলেজ।এটা পরীক্ষা করার সবচাইতে ভালো উপায় হচ্ছে, আমাদের নিজেকে খেয়াল করতে হবে যে আমাদের কি খেলে এলার্জি হচ্ছে ।
এজন্য খেয়াল রাখতে হবে যে আমাদের কোন খাবার খেলে চুলকানি হচ্ছে হাঁচি হচ্ছে চোখ চুলকাচ্ছে চোখ দিয়ে পানি পড়ছে তাহলে সেই খাবার অ্যাভয়েড বা বাদ দিতে হবে।আবার অনেকের সাবান দিয়ে গোসল করার পর চুলকানি হচ্ছে ,তাদের জন্য বডি ওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।আবার অনেকের দেখা যায় চুলে কলপ ব্যবহার করলে এলার্জি হচ্ছে, তাদের জন্য মেহেদী ব্যবহার করতে হবে।
এলার্জির সর্বপ্রথম চিকিৎসা হচ্ছে যে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অনেক প্রকার মেডিসিন খাওয়া বা ব্যবহার করা যায়।কিন্তু এলার্জির ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ঘরোয়া চিকিৎসা হলো। যে খাবার খেলে যে কাজ করলে এলার্জি বেড়ে যায় তা থেকে আমাদেরকে সতর্ক বা দূরে থাকতে হবে।
এলার্জি চুলকানি কেন হয়
আসলে চুলকানি কি কেন হয়, এটা আমাদের সর্বপ্রথম জানা দরকার।চুলকানি আমরা দেখি বেশিরভাগ সময় এটা শীতকালে হয়ে থাকে। সাধারণত অপরিষ্কার থাকার কারণে এ রোগটা বেশি হয়। কিছু কিছু ফ্যামিলি আছে দেখা যায় তারা অনেক গরীব। তার জন্য যে পরিমাণ পরিষ্কার থাকা দরকার সে পরিমাণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে পারে না। এজন্য অনেক সময় দেখা যায় যে তারা চুলকানি রোগে আক্রান্ত হয়।
চুলকানি আমরা কিভাবে বুঝবো?আসলে এটা সঠিকভাবে চিকিৎসা করলে খুব তাড়াতাড়ি ভালো করা সম্ভব। তাহলে আমরা কিভাবে বুঝব এটা আমাদের চুলকানি হয়েছে ?হাতের আঙ্গুলের মাঝামাঝি ছোট ছোট দানা হয়ে থাকে যা চুলকাতে খুব মজা লাগে।
চুলকানি দূর করার সহজ উপায় জেনে নিন
চুলকানি ভালো করার জন্য সর্বপ্রথম শর্ত হলো সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। তার জামা কাপড় বিছানার চাদর সবকিছুই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। চুলকানিতে আক্রমণ করার পরে আমরা শরীরে যে পোশাকগুলো পড়ে থাকি, ওই পোশাকগুলো যদি বারবার ব্যবহার করি তাহলে শরীর থেকে চুলকানি ছাড়বে না।বরং এর ফলে অনেকের গায়ে চুলকানি আক্রমণ করবে।
আমাদেরকে ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে কোন ক্রমেই চুলকানি ছড়িয়ে না পড়ে তার দিকে লক্ষ্য করতে হবে।আমরা যে বিছানায় শুয়ে থাকি সে বিছানার চাদর প্রতিদিন সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে পরিষ্কার পরিছন্ন করতে হবে।এবং শরীরের যে জামা কাপড় আমরা ব্যবহার করবো ব্যবহার করার পর প্রতিদিন সকালবেলায় সেই জামা কাপড় পরিষ্কার পরিছন্ন করতে হবে।
এভাবে চলতে পারলে অনেকটাই চুলকানি ভালো হয়ে যাবে।এর পাশাপাশি আমাদেরকে চিকিৎসা নিতে হবে।এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে ও মলম শরীলে মাখতে হবে।
এলার্জি অনেক প্রকার হয়ে থাকে ।পৃথিবীর সকল ধরনের এক
পায়ে চুলকানি দূর করার উপায়
কেবলমাত্র কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই পায়ের চুলকানি ভালো করা সম্ভব। চলুন আমরা দেখি সেই নিয়মগুলো কি কি?
- আপনি পায়ের যে মোজা টি ব্যবহার করেন সেটি সুতির হতে হবে।
- আপনার পায়ে যে চুলকানি হয় আপনার পায়ের স্কিন যদি শুষ্ক হয় তাহলে চুলকানি হতে পারে। এর জন্য আপনাকে মস্রাইজ যে ক্রিম গুলো পাওয়া যায়, সেই ক্রিমগুলো ব্যবহার করতে হবে।
- আপনার চুলকানি হওয়ার জন্য অনেক সময় ধুলো ও বালি কাদা-ময়লার কারণে হতে পারে।সেজন্য আপনার পা কে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
- আমরা অনেকেই কসমেটিক্স এর বিভিন্ন রকম প্রোডাক্ট ব্যবহার করি। কসমেটিক্স এর প্রোডাক্ট গুলোর মধ্যে অনেক রকম কেমিক্যাল দেওয়া থাকে, যার কারণে আমাদের চুলকানি হতে পারে।
লেখক এর মন্তব্যঃ
আমরা যদি জীবনে চলার পথে সর্বদাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করতে পারি। তাহলে আমাদের এই সব সমস্যা হবে না। যদি হয়েই যায়, তাহলে উপরে নিয়ম গুলো অনুসরণ করলে আপনার সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
আর্টিকেলটি পড়ে আপনি ও উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url