গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার ৮টি উপকারিতা
প্রিয় পাঠক,আপনি কি কলার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।গর্ভাবস্থায় একজন মা যেসব ফল খেয়ে থাকেন তার মধ্যে অন্যতম ফল হচ্ছে কলা। এ ফলে রয়েছে আয়রন ও অন্যান্য পুষ্টি গুণ।এই পোস্টে আপনি জানতে পারবেন গর্ব অবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতাগুলো কি কি,বিচি কলা উপকারিতা ও অপকারিতা।
দামে কম হওয়ার কারণে অনেক গর্ভবতী মায়েরা নিজেদের আয়রনের চাহিদা পূরণের জন্য বেছে নিচ্ছেন কলা।কলার উপকারিতা জানতে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
ভূমিকাঃ
পুরো বাংলাদেশেজনপ্রি জনপ্রিয় ফল হচ্ছে কলা।কলা আমাদের দেশে সারা বছর পাওয়া যায়।বাড়িতে শিশু হতে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবার জন্য বেশ উপকারী কলা।কলার মধ্যে রয়েছে প্রোটিন ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টিগণ এটি খেতেও যেমন বেশ মজাদার তেমন আমাদের দেহের কিছু সমস্যার জন্য ওষুধের থেকে কলা অনেক কার্যকারী।
কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল হল কলা।পুষ্টিবিদরা কলা কে বলেন সুপার ফুড, কেননা কলার মধ্যে রয়েছে কার্বোহাইডেট,প্রোটিন,ফ্যাট ভিটামিন এ,ভিটামিন বি কমপ্লেক্স,ভিটামিন সি।আরো রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস,পটাশিয়াম,আয়রন,ম্যাঙ্গানিস।কলাই থাকা প্রচুর পরিমাণ ফাইবার বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ থেকে দেহকে রক্ষা করে। চলুন জেনে নিই কলার উপকারিতা।
আরো পড়ুনঃকাঠবাদামের ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা।
এনার্জিঃকলা শক্তির জন্য অত্যন্ত ভালো এক উৎস। এর জন্য অনেক খেলোয়ারকেই বেশি পরিমাণে কলা খেতে দেখা যায়।
মানসিক চাপঃকলার মধ্যে রয়েছে এমাইনো এসিড,যা মানুষের চাপ রোদ করতে কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যা বিষণ্ণতা রোধ করতেও কাজ করে।
উচ্চ রক্তচাপঃকলায় রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও সামান্য পরিমাণে লবণ যা হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখতে সাহায্য করে, এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে।
স্মৃতিশক্তি বাড়াইঃপ্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়ায় স্মৃতিশক্তি বাড়তে সাহায্য করে।
রক্তস্বল্পতাঃএর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন,যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াই। এবং যেসব রোগীর রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়ার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এটি বেশ উপকারী।
কোষ্ঠকাঠিন্যঃএর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রোজ সকালে একটি করে পাকা কলা খেলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখবে।
সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা
কলা এমন একটি ফল, যা কোষ্ঠকাঠিন্যও অলসতাকে দূর করে শরীরকে ঠান্ডা রাখে। কলাতে আয়রনের পরিমাণ অনেক বেশি যা হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন বাড়ায়, এবং রক্তস্বল্পতা নিরাময় করতে অনেক সাহায্য করে।কলাই পটাশিয়াম ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়াম এর উৎস,যা আপনার দেহের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব পূরণ করে,শক্তি বাড়ায় এবং খিদা দূর করে।তাই অবশ্যই প্রতিদিন কলা খাওয়া উচিত।তবে আয়ুর্বেদ ডাক্তারদের মতে সকালে ফল খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা
যেকোনো ফল নিঃসন্দে খাওয়া যে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী তা আমরা সবাই জানি।, তাই বলে যখন তখন ফল খাওয়া উচিত না। এই বিষয়েও আমাদের সুনির্দিষ্ট খেয়াল রাখা উচিত।আয়ুর্বেদে শাস্ত্রের মতে রাত্রে ঘুমানোর আগে কলা খাওয়া উচিত নয়। কারণ কলা হচ্ছে ঠান্ডা ফল, রাত্রে খেলে সর্দি ঠান্ডা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পুষ্টিক বিজ্ঞানীদের মতে কলা অবশ্যই স্বাস্থ্যকর ও শক্তিদায়ক ফল। তবে রাত্রে এটা খাওয়া উচিত নয়, রাত্রে কলা খেলে ঠান্ডা লাগার পাশাপাশি সাইনাসের প্রবলেম বৃদ্ধি হতে পারে। তবে সন্ধ্যায় জিম করার পর কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।প্রচুর পটাশিয়াম থাকায় কলা আমাদের পেসি গুলোকে আরাম দেয়।
সন্ধ্যার পর কলা খেলে শরীরকে রিলাক্স করে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করে তোলে এবং রাত্রে ভালো ঘুম হয়।সুতরাং রাত্রেও আপনি কলা খেতে পারেন এটারও অনেক সুফল রয়েছে। তবে মাথায় রাখতে হবে যে আপনার সর্দি কাশি বা সাইনাসের প্রবলেম থাকলে রাত্রে কলা না খাওয়াই উত্তম।
কলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
প্রতি ১০০ গ্রাম ওজনের কলার পুষ্টিগুণঃপটাশিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম,ভিটামিন সহ আরো রয়েছে
- পানি ৭০ .১ %
- আমিষ১.২%
- ফ্যাট০.৩%
- ফাইবার০.৪%
- খনিজ লবন০.৮%
- শর্কর৭.২%
গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা
কলা আমাদের কাছে খুবই পরিচিত এবং সেই সাথে সহজলভ্য একটি ফল।কলা খেতে সবাই পছন্দ করে থাকি। কলা খেতে পছন্দ করে না এমন ব্যক্তি হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না।কলা যেমন সুস্বাদু এবং এর পুষ্টিগুণ উপকারিতা অনেক।কাঁচা কলা সবজি হিসেবেই পরিচিত। আজ আমরা জানব গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি?কাঁচা কলায় রয়েছে ভিটামিন মিনারেল সহ আরো অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর।
উচ্চ ভিটামিন বি-৬এর ভালো উৎস কাঁচা কলা। ভিটামিন বি-৬ রক্তে হিমোগ্লিন তৈরি করে, যার অর্থে অক্সিজেন পরিবহন করে থাকে।এর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি-৪ রক্তের শর্করা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও যদি আপনি আপনার বাড়তি ওজন কমাতে চান তবে রোগের পথ্য হিসেবে পরিচিত স্বাস্থ্যকর এ সবজিটি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।
ওজন কমায়ঃওজন কমাতে চাইলে, খাদ্য তালিকায় রাখুন কাঁচা কলা। কাঁচা কলার ফাইবার অনেকটা সময় পেট ভরিয়ে রাখে। এটি আট যুক্ত হওয়ায় তা মেয়ের কমাতেও সাহায্য করে।গর্ভাবস্থায় অনাকাঙ্ক্ষিত ওজন বেড়ে যাওয়া রোধে কাঁচা কলা খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করেঃরক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্যেও কাঁচা কলা বেশ উপকারী।এটি আশঁযুক্ত হওয়ায় রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া গর্ভ অবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে কাঁচা কলার আঁশ। ভিটামিন বি৬ গ্লকোজনিয়ন্ত্রণ করে টাইপ- টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
বিচি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
বিচি কলাতে প্রচুর বীজ থাকে,একটি কলায় ১৫ থেকে ৬২ টি বীজ থাকতে পারে।বিচি কলা বাংলাদেশের একটি অতি পরিচিত ফল, বাংলাদেশের প্রায় বসতবাড়িতে বিচি কলার গাছ রয়েছে।পাকা কলা অত্যন্ত পুষ্টি সম্পূর্ণ একটি ফল হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। বিচি কলা ক্যালোরি সম্পূর্ণ একটি ফল,বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বিচি কলা অত্যন্ত জনপ্রিয়।
বিচি কলার বিচির মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ক্যালসিয়াম।যা পুনরায় শরীরের অ্যান্টি বডি তৈরি করতে সাহায্য করে,দেহে নানা রকমের টিসু তৈরি করতেও সাহায্য করে।ডায়রিয়া বা আমশার সমস্যার সমাধান করে।বিচি কলার পুষ্টিগুন আছে অনেক,বিচি কলায় রয়েছে শর্করা পটাশিয়াম আইরন।
আরো পড়ুনঃকিসমিস খেলে কি ফর্সা হয়?
পাশাপাশি ভিটামিন বি ভিটামিন সি এর অসাধারণ উৎস হচ্ছে বিচি কলা।বিচি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা অনেকগুলো রয়েছে। বিশেষ করে যাদের শরীরে আয়রন কম আছে তারা বিচি কলা খেতে পারেন।
শেষ কথাঃ
প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণ জানতে পেরেছেন যে কলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি। যারা ওজন কমাতে চান তারা নিয়মিত সকালবেলায় এক থেকে দুইটি করে কলা খেতে পারে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যাদের রাত্রে ভালো ঘুম হয় না এক্ষেত্রে আমি বলতে চাই রাত্রে ভালো ঘুম পাওয়ার জন্য নিয়মিত সন্ধ্যা বেলায় একটি করে কলা খেতে পারেন।গর্ভাবস্থার শেষের দিকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। কাঁচা কলা ডায়রিয়ার প্রাকৃতিক ভেষজ হিসেবে কাজ করে।
আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধু বান্ধব ও ফ্যামিলি মেম্বারদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকলে কমেন্টে জানিয়ে দিবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url