কীটনাশক ব্যবহারের ৫টি সুফল ও কুফল
প্রিয় পাঠক আপনি কি জৈব সার সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আজকে আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব কীটনাশক ব্যবহারের সুফল ও কুফল এবং সার কত প্রকার ও কি কি।জৈব সার এমন একটি সার যার ব্যবহারে ফলে একজন কৃষকের ফসল উৎপাদনে ভালো ফলাফল এনে দিতে অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে।
আপনি যদি কীটনাশক ব্যবহারের সুফল ও কুফল এবং সার কত প্রকার ও কি কি এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জেনে নিন কীটনাশক ব্যবহারের সুফল ও কুফল গুলো কি কি।
ভূমিকাঃ
জৈব সার হচ্ছে প্রাকৃতিক উৎস থেকে উৎপন্ন করা হয়।যেমন ঘাস পাতা ফলের উচ্ছিষ্ট ও পশু পাখির মলমূত্র এইসব উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় জৈব সার।যার ব্যবহারের ফলে উদ্ভিদকে প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান সরবরাহ করে থাকে।
কীটনাশক ব্যবহারের সুফল ও কুফল
কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে কিটপতঙ্গের আক্রমণ ঠেকাতে কীটনাশক ব্যবহার করে আসছেন।কীটনাশক ব্যবহারে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় তবে অপব্যবহারের ফলে মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে।
- ফসলের ক্ষতি রোধ করে।
- মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
- খাদ্যের অপচয় রোধ করে।
- অর্থনৈতিক লাভ বৃদ্ধি পায়।
কীটনাশক ব্যবহারের কুফলঃ
- পরিবেশ দূষণ করে।
- কীটপতঙ্গের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
রাসায়নিক সার ব্যবহারের ৪টি কুফল
অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের কুফল গুলো হচ্ছেঃঅনেক সময় দেখা যায় বেশি ফলনের আশায় কৃষকেরা জমিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার করেন। এভাবে দীর্ঘদিন অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে মাটিতে বসবাসকারী সকল উপকারী পোকা,কেচো ও অনুজিব গুলি মারা যায়।যার ফলে মাটি সাদা ও শক্ত হয়ে যায়।
সার কত প্রকার ও কি কি
সার কে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
- জৈব সার
- অজৈব সার।
জৈব সারের পরিচয়ঃকেঁচো ভার্মি করপোস্ট গোবর এসব উদ্ভিদ থেকে যে স্যার তৈরি করা হয় তাকে জৈব সার বলে।
অজৈব সারের পরিচয়ঃউদ্ভিদ ব্যতীত রাসায়নিক দ্বারা যে স্যার বানানো হয় তাকে অজৈব সার বলা হয়। কারখানা থেকে এসার উৎপাদন করা হয়। যেমন টিএসপি,এমওপি,ইউরিয়া ইত্যাদি সার।
জৈব সার বানানোর পদ্ধতি
স্বাস্থ্যসম্মত ও ভালো মানের ফসল পেতে হলে মাটিতে জৈব সার ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই।এইজন্য ভালো ফসল ফলানোর জন্য বর্তমানে জৈব সার অনেক জনপ্রিয়।মাটির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে হলে জৈব সার মাটিতে ব্যবহার করতে হবে।তাই কৃষকদের জৈব সার সংরক্ষণ ও তৈরীর ব্যাপারে অত্যন্ত যত্নবান হওয়া দরকার।
নিজের বাড়ি থেকে যে খরকুটা লতাপাতা ছাই ও হাঁস মুরগির বিষ্ঠা বাড়িঘর ঝাড়ু দেওয়া ময়লা আবর্জনা গরুর গোবর ইত্যাদি সংরক্ষণ করে ছোটখাটো কারখানা করতে পারেন।জৈব সার ব্যবহারে উৎপাদন শক্তি ঠিক থাকবে।তেমনি অপরদিকে রাসায়নিক সারের নির্ভরশীলতা হাস পাবে।গরুর গোবর পচিয়ে যেই সার তৈরি করা হয় তাকে গোবর সার বলে।
গহিল বা খামারে গোবর অনেক জমা রাখে কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে এই স্যারের মূল্যবান নষ্ট হয়ে যায়।তাই এভাবে যে সার তৈরি করা হয় তা মাটি অথবা ফসলের জন্য কোন উপকারে আসে না।তো চলুন জেনে নিই কিভাবে উন্নত মানের জৈব সার তৈরি করবেন।
- গোয়াল ঘরের কাছাকাছি সামান্য উঁচুয়স্থান নির্ধারণ করে ২ মিটার চওড়া,৩.৫মিটার লম্বা ও ২.৫মিটার গভীর গর্ত তৈরি করুন।
- গর্তের তলাকে ভালোভাবে সমান করে খড় ও কাপড় বিছিয়ে দিন যাতে করে সহজে পানি শোষণ করতে পারে।
- গর্তের উপরের চারিপাশে মাটি দিয়ে উঁচু করে রাখতে হবে যেন সহজে গর্তের ভিতর পানি প্রবেশ করতে না পারে।
- গর্তের ভিতর কয়েকটি অংশে ভাগ করে কয়েক দিনে গর্তটি ভরাট করুন।
- সারযেন গ্যাস হয়ে উঠে না যায় সেজন্য গোবর ফেলার ফাঁকে ফাঁকে পুকুরের তলার মাটি ফেলুন।
- কবর যেন কড়া রোদে শুকিয়ে না যায় এবং বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে না যায় তার জন্য কাঁদার উপরে টিন দিয়ে দিন।
- এভাবে সংরক্ষণের দুই মাসের মধ্যে গোবর পচে ভাল সার তৈরি হয় যা জমিতে ব্যবহার করার জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে।
শেষ কথাঃ
আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন কীটনাশক ব্যবহারের সুফল ও কুফল এবং সার কত প্রকার ও কি কি সহ আরো বিভিন্ন তথ্য।কীটনাশক ব্যবহারের সুফল ও কুফলের সম্পর্কে জানার পর অবশ্যই পোস্টটি আপনার বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে কীটনাশক ব্যবহারের সুফল ও কুফল গুলো শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url